বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ( Electrical Accident) Part-2
বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা
বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা চার ধরনের হয়-
১) ইলেকট্রিক শক ( ELECTRIC SHOCK )
২) ইলেকট্রিক শকের কারণে মৃত্যু ( ELECTROCAUTION )
৩) পুড়ে যাওয়া (BURNS)
৪) পড়ে যাওয়া (FALLS )
ইলেকট্রিক শক ( ELECTRIC SHOCK)
মানবদেহবিদ্যুৎসুপরিবাহী।একটি উচ্চমাত্রার তড়িৎপ্রবাহ মানুষের দেহের মধ্য দিয়ে
প্রবাহিত হলে বৈদ্যুতিক শক সৃষ্টি হয়। মানব শরীরে সর্বনিম্ন বিদ্যুৎপ্রবাহ মাত্রা
১ মিলিএ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে কোষ
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি
হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একজন ৭০কেজি ভরের মানুষের দেহে ৭৫ মিলিএ্যাম্পিয়ার ডিসি
কারেন্ট এবং এসির ক্ষেত্রে ১৫ মিলিএ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হলে বৈদ্যুতিক শক
অনুভুত হয়। বৈদ্যুতিক শক অনুভুতির মাত্রা নির্ভর করে ভোল্টেজের পরিমাণ, স্থায়ীত্ব, কারেন্ট প্রবাহের পথ ইত্যাদির উপর। উচ্চ ভোল্টেজে (৫০০-১০০০ ভোল্টে) মানুষের দেহের কোষ পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।বৈদ্যুতিক শক
মানুষের স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমনঃ স্নায়ু বিকলাংগ হয়ে যেতে পারে। কম
ভোল্টেজে (১১০-২২০ভোল্ট, ৬০হার্জ এসি) মাত্র ৬০ ডিসি কারেন্টকারেন্ট প্রবাহিত হলে মানুষের
হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া (Ventricular fibrillation) বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। বিদ্যুৎপ্রবাহরয়েছেএমনকোনোখোলাতারবাবৈদ্যুতিকলাইনেরসংস্পর্শেএলেতাইসহজেইদেহেবিদ্যুতায়নহতেপারে।প্রচলিতভাষায়যাকেবলেকারেন্টেশকখাওয়াবাবিদ্যুৎস্পৃষ্টহওয়া। নিচে বিভিন্ন
এম্পিয়ারের বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে শারীরিক ক্ষতির তালিকা দেওয়া হল-
৩মিলিএম্পিয়ারের কম
|
অনুভূত
হয় না
|
৩মিলিএম্পিয়ারের বেশি
|
ব্যাথাযুক্ত শক
|
১০ মিলিএম্পিয়ারের বেশি
|
মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়
|
৩০ মিলিএম্পিয়ারের বেশি
|
ফুসফুস সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়
|
৫০ মিলিএম্পিয়ারের বেশি
|
হৃদপিণ্ড
সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দিতে পারে
|
১০০ মিলিএম্পিয়ার- ৪ এম্পিয়ার
|
হৃদপিণ্ড সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ
করে দিবে
|
৪ এম্পিয়ারের বেশি
|
হৃদপিণ্ড সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে, শরীরের
বিভিন্ন অঙ্গ যেতে পারে
|
No comments